কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:লোহাগাড়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু ও অস্ত্র উদ্ধার সহ ০২ (দুই)) জন আসামী গ্রেফতার।

আভিযানিক সাফল্যের বিবরণ: চট্টগ্রাম জেলার সম্মানিত মাননীয় পুলিশ সুপার, জনাব মো:সাইফুল ইসলাম সানতু বিপিএম-সেবা মহোদয়ের নির্দেশনায়, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ তফিকুল আলম মহোদয়ের তত্বাবধানে, জনাব মোঃ আরিফুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ, লোহাগাড়া থানা, চট্টগ্রাম এর নেতৃত্বে এসআই(নি:)/ মোঃ শরিফুল ইসলাম, পিপিএম-(বার), বিপি নং-৮৪০৩০৬৪৩৫৭ ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ লোহাগাড়া থানাধীন চুনতি ইউপিস্থ চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার মহাসড়কের উপর চেক পোষ্ট স্থাপন করতঃ যানবাহন তল্লাশি করে লোহাগাড়া থানার সাধারণ ডায়রী নং-১৯০, তারিখ-০৫/০৫/২০২৫খ্রিঃ মূলে সঙ্গীয় ফোর্সসহ লোহাগাড়া থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ নিবারণ ডিউটি কালে ০৬/০৫/২০২৫খ্রিঃ রাত ০৩.৩০ ঘটিকার সময় হইতে লোহাগাড়া থানাধীন চুনতি ইউপিস্থ চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার মহাসড়কের উপর চেক পোষ্ট করা কালে সংবাদ পাই যে, কতিপয় চোর গরু চুরি করে পিকাআপ যোগে চকরিয়া হয়ে চট্টগ্রামের অভিমুখে রওয়ান করিয়াছে। তাৎক্ষনিক বাদী সংগীয় ফোর্স সহ ১ম ঘটনাস্থলে চেক পোস্ট স্থাপন করতঃ যানবাহন তল্লাশি আরাম্ভ করে। তল্লাশিকালে ০৫/০৫/২০২৫খ্রিঃ রাত ০৪:১০ ঘটিকার সময় চকরিয়া হইতে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাওয়া একটি পিকআপ গাড়ীর গতিবিধি সন্দেহ হলে গাড়ীটি থামানোর জন্য সংকেত দেই। গাড়ীটি বাদীদের চেকপোষ্টের নিকটবর্তী হলে পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে গাড়ীর পিছনের ট্রলিতে থাকা ৪/৫জন ডাকাত পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে এবং উক্ত গাড়ীর চালক না থামিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালিয়ে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। উক্ত গাড়ীতে উচলাইটের আলোতে পরিবহনরতে চোরাই গরুগুলো দেখতে পাই। বিষয়টি বাদী তাৎক্ষনিক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া ডাকাত দলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের পিছু যাওয়া করি এবং দোহাজারী হাইওয়ে থানা পুলিশকে সহায়তার জন্য ফোন করে। ডাকাত দলের গাড়িটি চন্দনাইশ থানাধীন কাঞ্চনাবাদ ইউপিস্থ কাঞ্চনাবাদ বাদামতল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুমান ২০০ গজ পূর্ব পাশে গেলে সেখানো দোহাজারী হাইওয়ে থানার কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যগণ গাড়িটি আটকানোর জন্য রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ডাকাতদল ঘটনাস্থলে গাড়িটি রাস্তার পাশে গাছের সাথে ধাক্কা লাগিয়ে দেয় এবং পুলিশকে লক্ষ করে পুনরায় গুলি ছুড়ে দিক বেদিকে পালিয়ে যেতে থাকে। পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে স্থানীয় জনগনের সহায়তায় উক্ত ডাকাত দলের সদস্য ০১। আব্দুস সবুর (৪০) এবং ০২। মহি উদ্দিন (৩৭) দ্বয়কে আটক করিতে সক্ষম হই। বাদী সঙ্গীয় পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় জনগনের সহায়তায় ধৃত আসামীদর নিকট হইতে ক) ৫(পাঁচ) টি বিভিন্ন প্রজাতির গরু যাহার মধ্যে ১। লম্বা ৫ফিট উচ্চতা ৪ফিট এইঞ্চি, রং লাল, শিং বিহীন, ২। লম্বা ৪.৫ফিট উচ্চতা ৩ফিট ৩ ইঞ্চি, রং- লাল, শিং আছে, ৩। পৌনে ৫ফিট, উচ্চতা সাড়ে ৩ফিট, রং-কালো, শিং আছে, ৪। লম্বা ৩.৫ ফিট, উচ্চতা-৩ফিট, রং-লাল, শিং বিহীন, ৫। লম্বা ৩ফিট, উচ্চতা- ২.৫ ফিট, রং- কালো, শিং বিহীন এবং একটি লাল রংয়ের বাছুর যাহার মোট মূল্য অনুমান-৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা হইবে।
খ) একটি দেশীয় তৈরি এল.জি (আগ্নেয়াস্ত্র), যাহার লোহার অংশ লম্বা-৮.৭৫ ইঞ্চি, কাঠের অংশ লম্বা-৪.৫০ ইঞ্চি এবং ২ রাউন্ড ১২বোর লিডবল (শীষা) লাল রংরয়র কার্তুজ।গ) ০২ (দুই) রাউন্ড ১২ বোর লিডবল (শীষা) কার্তুজ।ঘ) একটি ছোট সাইজের টাটা নীল রংয়ের সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ। যা রেজিঃ নং-চট্টঃ মেট্রোঃ-ন, ১১-৪২৮৮, ইঞ্চিন নং ও চেসিস নং অস্পষ্ট। যার মূল্য অনুমান-৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা ০৬/০৫/২০২৫খ্রিঃ ভোর ০৫:৩০ ঘটিকার সময় জব্দ করিয়া নিজ হেফাজতে গ্রহণ করি। ধৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে তারা এজাহারে বর্ণিত উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সাক্ষীদের সম্মুখে স্বীকার করে যে, তাদের সাথে থাকা পলাতক আসামীগন সহ চট্টগ্রাম জেলাধীন বাঁশখালী থানা এলাকার পুইছড়ি হইতে সংঘবদ্ধভাবে রাত্রীকালীন সময়ে উপরোক্ত বর্ণিত গরুগুলো লুণ্ঠন করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে গমন করতেছিল। তারা আরোও জানায় যে, চট্টগ্রাম জেলা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে রাত্রীকালে অন্তের মুখে জিম্মি করে চুরি ও ডাকাতি সংঘটন করে। উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামীদ্বয় তাদের নিজ দলের সদস্যদের গুলিতে এবং ধৃত পরবর্তী স্থানীয় জনসাধারনের আক্রোশ ও মারধরের ফলে আহত হয়।

বাদী গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আসামী- আব্দুস সবুর (৪০)’কে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে এবং মহি উদ্দিন (৩৭)’কে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ১ ও ২নং আসামী অবৈধভাবে দেশীয় তৈরি এল.জি (আগ্নেয়াস্ত্র), কার্তুজ নিজ হেফাজতে রেখে The Arms Act. 1878 19A, 19(1) ধারার অপরাধ করিয়াছে। জব্দতালিকার সত্যায়িত কপি এবং জব্দতালিকার “খ” এবং “গ” নং আলামত চন্দনাইশ থানার অস্ত্র মামলার এজাহারের সাথে জমা প্রদান করা হইয়াছে।
আইনগত ব্যবস্থা: লোহাগাড়া থানার মামলা নং- ০৮ তারিখ: ০৬ মে, ২০২৫খ্রি. ধারা- ৩৮০/৪১১ পেনাল কোড রুজু করা হয়। মামলাটি এসআই(নি.) সীমান্ত পোদ্দার, বিপি- ৯৫২৩২৪৬৭০১ তদন্ত করিবেন।