আব্দুল আজিজ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি: মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানিয়াবহু কাওড়া কাদেরিয়া আলিম মাদ্রাসা তে তিন দিনব্যাপী ৬৯তম বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে সফলভাবে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. আলী আফজাল। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আত্মবিশ্বাস ও নেতৃত্বের গুণাবলি গড়ে তুলতে সাহায্য করে। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননের বিকাশ ঘটে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক এ.এস.এম মাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান দিয়েই শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়তে পারে না, তাদের জন্য চাই সহশিক্ষা কার্যক্রম। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলাবোধ, প্রতিযোগিতার মানসিকতা ও সহনশীলতা বাড়ায়। এই মাদ্রাসার ফলাফল ভালো। আশা করি একদিন এটি ফাজিল মাদ্রাসায় রূপান্তরিত হবে। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলব, সন্তানদের বাল্যবিবাহ দেবেন না। মাদ্রাসার বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে মাগুরা শিক্ষা অফিস কাজ করছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আছাদুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, এই বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আমাদের প্রতিষ্ঠানের গৌরবময় ঐতিহ্য। শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতেই আমরা প্রতিবছর এই আয়োজন করে থাকি। সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অতিথিদের আন্তরিক সহযোগিতায় এ বছরও অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমরা এই ধারা অব্যাহত রাখব।
অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান লিপন (সহ-সভাপতি ও এপিপি, জেলা বার কাউন্সিল, মাগুরা)। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষ দিনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরো আয়োজনটি উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিভার নৈপুণ্য প্রদর্শন করে। শিক্ষক, অভিভাবক ও অতিথিরা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান।