মাগুরার শ্রীপুরে প্রতিবেশীর বাড়িতে খাবারের পানিতে আনতে গিয়ে এক গৃহবধূ ধর্ষণের স্বীকার হওয়ার পর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী।
জানা যায়, গত ১৪ মে ২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গয়েশপুর ইউনিয়নের চন্ডিখালী গ্রামের আজিমুদ্দিন এর বাড়িতে টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গেলে সেখানে ঐ গ্রামের সাইফুল সর্দারের ছেলে মোঃ তিতাস ও জামাল মোল্লার ছেলে মোঃ রসুল ওরফে রাসূল ঐ গৃহবধূকে জোর করে ধর্ষণ ও অপহরণ করে দুই দিন রেখে ঢাকার বাসে তুলে দেয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজন স্বীকারোক্তি দিলেও বিচার না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ ভুক্তভোগী পরিবারটি।
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, গত ১৪ মে ২০২৪ সালে আমার আমার ওয়াইফ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে পাশের বাড়িতে পানি আনার জন্য গেলে তিতাস, রসূল এবং মিরুলসহ সাথে আরো লোক থেকে মুখ চেপে ধরে এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে মিরুলের ঘরের ভিতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এবং দুইদিন রাখার পরে কুষ্টিয়া নিয়ে ঢাকার গাড়িতে উঠায় দেয়। সেখান থেকে আমার ওয়াইফ মাগুরা এসে আমাকে ফোন দিলে আমি তাকে নিয়ে আসে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করি। মামলা করার পরে একাধিকবার মারধর, বাড়ি ভাঙচুর, হামলা করে ধর্ষণকারীরা।
তিনি আরো জানান, একাধিকবার আমার পরিবারের উপর এরকম হামলা ও মারধর করায় ডিসি কোর্টে ১০৭ ধারায় একটি মামলা করার পরে ১০০০ টাকার বন্ড পেপারে মুচ লেখা দিয়ে আসে। এরপর কিছুদিন ভালো থাকলেও আবারো হুমকি ধামকি এবং মারধর করে আসামিরা। তখন সেনাবাহিনীর অভিযানে কিছুদিন শান্ত থাকলেও আবারো তারা আমাকে মারধর ও আমার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় আবারও ১০৭ ধারায় দশজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। আসামীরা হলেন, তিতাস, রসুল, মিরুল, ইউসুফ মোল্লা, পিকুল মোল্লা, বরকত মোল্লা, সুখো মোল্লা ও লাল চাঁদ মোল্লা, এই মামলার পরও তারা ২০০০ টাকার বন্ডে মুচলেখা দিয়ে আসে। এরপরও আবার আমাকে মারধর করা হয়। আবারো আমি একটি মামলা করেছি ডিবিতে সেটি তদন্তাধীন রয়েছে। এরপর আবার আমার স্ত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিল। ত্রিপল নাইনে কল দিলে পরিশেষে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে রেখে যায়। তারা আমার পরিবার এবং আমার পরিবারের লোকজনের উপর বিভিন্ন হামলা এবং হুমকি দিয়ে আসছে। আমি সঠিক বিচার চাই।