মঙ্গলবার (০৩ জুন) বেলা ১ টার পর শ্রীপুর সরকারি এমসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসব চাল বিতরনের উদ্বোধন করেন শ্রীপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা বিআরডিবি প্রকল্প কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আলতাফ হোসাইনসহ ৯টি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যবৃন্দরা।

তবে বিতরণ কার্যক্রম দেরীতে শুরু হওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক উপকারভোগী জানিয়েছেন সকাল ৯ টায় চাল নিতে এসে তীব্র গরমে ২ টা পর্যন্ত বসে থেকেও চাউল পাচ্ছিনা। এরমধ্যে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। সারা দিনের এই ভোগান্তির জন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতিই এর জন্য দায়ী।

এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে শ্রীপুর সদর

ইউনিয়নের ৪২৯৭ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার ভিজিএফ এর আওতাভুক্ত মাথাপিছু ১০ কেজি হারে চাউল বিতরণ করা হলো। আমি আশা করি এই দূর ঈদকে সামনে রেখে এই পরিবারগুলো ঈদ সামগ্রী পেয়ে তারা অনেক অনেক খুশি।

দেরীতে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিতরণ কার্যক্রম সাড়ে ১১ টায় শুরু হয়েছে। তবে গোডাউন থেকে চাউল বুঝে নিতে সময় লেগেছে।  এলএসডি কর্মকর্তা ৯ টার আগে আসেনি। এছাড়াও আমরা তিন ধরণের চাউল পেয়েছি সেগুলো আলাদা করতেও একটু সময় লেগেছে। আমি ইউনিয়নবাসীর এই ভোগান্তির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মৃদুল কিশোর বিষ্ণু জানান, চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ছাড়া আমরা চাউল দিতে পারিনা। চেয়ারম্যান দেরিতে আসায় চাউল বের করতেও দেরি হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউনিয়নটির দ্বায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিন প্রকারের চাউল যেমন ৫০ কেজি, ৩০ কেজি হারে বস্তা ও আতক চাউল থাকার কারণে একটু বিলম্ব হয়েছে। এতে ১১ টা সাড়ে ১১ টা বেজে গেছে। আমরা আশা করি বিতরণ কার্যক্রম ৩ টা সাড়ে তিনটার মধ্যে শেষ করবো। এছাড়াও আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের যে নিরাপত্তা সদস্যরা রয়েছে তারাই এখানে আইন শৃঙ্খলার দ্বায়িত্ব পালন করছে। বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠু ভাবে শেষ হবে বলে আশা করি।