রজিন ইসলাম রকি, স্টাফ রিপোর্টার, বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে আগামীকাল থেকে হিজরি বছরের শেষ মাস জিলহজ্ব শুরু হচ্ছে। ইসলামে এই মাসের রয়েছে বিশেষ মর্যাদা, বিশেষ করে প্রথম দশ দিন। কুরআন ও হাদিসে এই দিনগুলোর ফজিলত ও গুরুত্ব বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় কিছু বিশেষ আমল রয়েছে, যা একজন মুসলমানের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম দশ দিনের ফজিলত:
আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন:
> “শপথ ফজরের এবং দশ রাতের।” (সূরা আল-ফজর: ১-২)
হাদিসে নববিতে এসেছে:
> “আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় দিন হলো জিলহজের প্রথম দশ দিন। এ দশ দিনে সৎ আমল করা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়।”
— (সহিহ বুখারি: ৯৬৯)
করণীয় আমলসমূহ
১. রোযা রাখা:
বিশেষ করে ৯ জিলহজ — আরাফার দিন — রোযা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
রাসূল (সা.) বলেন:
> “আরাফার দিনের রোযা আগের বছরের ও পরের বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়।”
— (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
২. তাকবির বলা:
এই দশ দিনে বেশি বেশি তাকবির, তাহলিল ও তাহমিদ বলা সুন্নত।
> تَكْبِيرُ: اللهُ أَكْبَرُ، تَهْلِيلُ: لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، تَحْمِيدُ: الحَمْدُ لِلَّهِ
৩. নামাজে যত্ন:
ফরজ নামাজ যথাসময়ে আদায়ের পাশাপাশি নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, দোহার পরের চার রাকাত সুন্নত ইত্যাদি পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৪. কোরবানি প্রস্তুতি:
যারা কোরবানি দেওয়ার নিয়ত করেছেন, তাদের ১০ জিলহজ পর্যন্ত চুল ও নখ না কাটার সুন্নত রয়েছে (তিরমিজি: ১৫২৩)।
৫. সদকা ও খয়রাত:
দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য, অর্থ কিংবা পোশাক বিতরণ করে এই দিনগুলোতে সওয়াব অর্জন করা যায়।
৬. তওবা ও ইস্তিগফার:
এই দিনগুলোতে গুনাহ থেকে ফিরে আসা, বেশি বেশি তওবা ও ইস্তিগফার করা উচিত।
জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন মুসলমানদের জন্য এক মহাসুযোগ। এই সময়ে অল্প আমলের মাধ্যমে অনেক বেশি সওয়াব অর্জন সম্ভব। তাই প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উচিত এসব দিনকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে মনোযোগী হওয়া।