1. news@dailymatrivhumi.online : দৈনিক মাতৃভূমি : দৈনিক মাতৃভূমি
  2. info@www.dailymatrivhumi.online : দৈনিক মাতৃভূমি :
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "দৈনিক মাতৃভূমি" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :

শ্রীপুরে কেজি দরে বিক্রি করা ৪৯০ কেজি সরকারি বই উদ্ধার

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি : মাগুরার শ্রীপুরে একটি মাদ্রাসায় কেজি দরে বিক্রি করা প্রায় ৫শ কেজি সরকারি বিনা মূল্যের পাঠ্যবই উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার আমতৈল জেটিএস কাদেরীয়া (রহঃ) দাখিল মাদ্রাসা থেকে বিক্রি হওয়া ৪৯০ কেজি পাঠ্য বই ইজিবাইকে উঠানোর সময় উদ্ধার করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল গণি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নে চারতলা নতুন ভবনবিশিষ্ট আমতৈল জেটিএস কাদেরীয়া (রহঃ) দাখিল মাদ্রাসায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বসাকুল্যে দেড়শত জনের মতো। অথচ অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী দেখিয়ে প্রতি বছর অতিরিক্ত সরকারি বই সংগ্রহ করা হয়। ফলে গত বছরের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রায় ৫শ কেজি অব্যবহৃত বই মাদ্রাসার স্টোরে পড়েছিল। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ওই বইগুলো মুকুল বিশ্বাস নামে শ্রীপুরের খামারপাড়া বাজারের একজন ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন মাদ্রাসার সহকারী সুপার আছাদুজ্জামানসহ চার শিক্ষক। বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি পাঠ্য বই অতি গোপনে স্থানান্তরের চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলে শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বইগুলো উদ্ধার করেন।

গোপনে সরকারি বই বিক্রির ব্যাপারে সত্যতা স্বীকার করে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সকল শিক্ষকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে মাদ্রাসার আর্থিক সংকট থাকায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালের পুরাতন কিছু বই বিক্রির জন্য আলোচনা করা হয়। ঘটনার দিনে আমি বাড়িতে ছিলাম পরবর্তীতে শুনতে পেরেছি এটা নিয়ে অনেক কিছু হয়ে গেছে। পরে বই গুলো বিক্রি না করে রেখে দেওয়া হয়েছে। তবে এটির কোনো রেজুলেশন করা হয়নি। ঘটনাটি এত দূর যাবে জানলে এমন ঘটনা ঘটতো না। তবে এরকম কিছু আর ঘটবেনা বলে অঙ্গিকার করছি। ঘটনার দিন সহকারী শিক্ষক রেজাউল ইসলাম, আকিদুল ইসলাম এবং জাবেদ আলি নামে মাদ্রাসার তিন শিক্ষক ও শহীদুল ইসলাম নামের একজন দপ্তর ছিলেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অন্যান্য শিক্ষকরাও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। গোপনে সরকারি বই বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অপচেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল গণি।
তিনি বলেন, নতুন কিংবা পুরাতন বই যেটিই হোক বিক্রির এখতিয়ার তাদের নেই। এটি খোলা টেণ্ডারের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন করে থাকে।

আমতৈল জেটিএস কাদেরীয়া (রহঃ) দাখিল মাদ্রাসার চার শিক্ষক অনৈতিকভাবে ৪৯০ কেজি বই বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। বইগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জি বলেন, সরকারি পাঠ্যবই বিক্রির সাথে জড়িত অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© দৈনিক মাতৃভূমি
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট