
শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি: মাগুরায় শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাংচুর – লুটপাটের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে রাধানগর বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বদরুল আলম হিরো, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সি রেজাউল করিম, কাদিরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু জাফর মণ্ডল প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্বাস উদ্দীন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কর্মী নজরুল মেম্বার ও সাকুর মেম্বারের সহযোগিতায় গত ১৫ জানুয়ারী বুধবার কাদিরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় (একাংশের) কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
কাদিরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু জাফর মণ্ডল বলেন, আওয়ামীলীগের আমলে এমপি শিখর সাহেব ও মসিউর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বারিক বিশ্বাস ও সুকুর বিশ্বাস রাধানগর বাজারের পাশে বিশ্বাস পাড়া আমার ধানের চাতাল দখল করে এবং চাতাল ভেঙ্গে ৪০ হাজার ইট নিয়ে যায় এবং দুটি বিল্ডিং তৈরি করে কাজ শুরু করে তখন আমরা প্রতিবাদ করলেও তারা ক্ষমতার জোড়ে দখল করে রাখে। ৫ আগষ্টের পর বিল্ডিং এর নির্মান কাজ সাময়িক বন্ধ থাকে।
সাত আট দিন আগে পুনরায় কাজ শুরু করলে আমি আমার বেদখল কৃত জমি উদ্ধার করার জন্য আমার সামজিক লোকজন নিয়ে কাজে বাধা দিলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এবং জায়গা দখল করে বাজারে ফিরে আসি বাজারে আসার পর এই জায়গা জমি ও ঘর নিয়ে এলাকার বিএনপির আর একটি গ্রুপের সাথে আমাদের বিভিন্ন কোন্দল শুরু হয় তারই আলোকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন ও বিএনপি নেতা খন্দকার খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে রাধানগর বাজারে আমাদের বিএনপির পার্টি ভাংচুর করে। এ সময় একটি মটর সাইকেল চুরি হয়ে যায় এবং একটি মটর সাইকেল ভাংচুর করে ফেলে রেখে যায়। এ ছাড়াও দুটি অটো ও তিনটি ভ্যান ভাংচুর করে তারা। এছাড়াও শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল মুন্সি, ছাত্রদল নেতা সোহেল মুন্সি, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাহাঙ্গীর মুন্সিসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় যে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সী রেজাউল করিম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে বলেন, ১৫ তারিখে রাধানগরের বাজারে যে ভাঙচুরের ঘটনার দিন আমি ভারতীয় ভিসার আবেদন জমা দিতে ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। সেখান থেকে বিষয়টি অবগত হই। কিন্তু পরবর্তীতে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়া আমাকে নিয়ে যে বিভ্রান্তীকর তথ্য ছড়িয়েছে আমি এটার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মজুমদার, গয়েশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান, দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রদীপ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মুন্সি জাহাঙ্গীর হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।