মাগুরা প্রতিনিধি: দেশে জুলাই ও আগষ্টের গণঅভুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টিয়ারগ্যাস শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লেগে দগ্ধ হয় মাগুরার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের উত্তর বীরপুর গ্রামের ছালেক মিয়ার ছেলে হোসেন মিয়া (৪২)।
আহত অবস্থায় তার চিকিৎসা ব্যহত হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইমুম এর তত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। জানা যায়, ৪ই আগষ্ট মাগুরার পারনান্দুয়ালী এলাকায় ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের সাথে আন্দোলনে অংশ নেয়। এসময় পুলিশের টিয়ারগ্যাসে আহত হয় হোসেন মিয়া।
খোজ নিয়ে জানা যায়, দ্ররিদ্র ঘরে জন্ম নেওয়া আহত হোসেনের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে তার পরিবার। উন্নত চিকিৎসা না পেলে হোসেনের জীবন সংশয়ের মত আশংকা ও করছেন পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে উন্নত চিকিৎসার ব্যয় মেটানোর মত সামর্থ্য না থাকায় মানবিক, দানশীলদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন তার পরিবার। এছাড়াও সরকারিভাবে চিকিৎসার ব্যয় বহন করার জন্য অন্তরবর্তী কালীন সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।
তার চিকিৎসা ভার গ্রহণ করা ছাত্রদল নেতা কাজী সাইমুম জানান, ছাত্র আন্দোলনের সময় টিয়ারগ্যাস শরীরে লেগে দগ্ধ হয় হোসেন মিয়া। তাকে ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা তিনি তত্বাবধান করছেন। তবে হোসেনের সমস্যাটি জটিল। তাকে উন্নত চিকিৎসা না দিতে পারলে তাকে বাচানো কষ্টকর। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী তার পাশে রয়েছি। তবে সরকার যদি তার চিকিৎসা ব্যয়ভার টা বহন করে তাহলে আমাদের হোসেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারবে-ইনশাআল্লাহ।
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশে সমগ্র বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বৈষম্য বিরধী ছাত্র আন্দোলনে চিকিৎসা বঞ্চিত দের পাশে থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতা তিনি হোসেন মিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে ভূমিকা রাখছেন বলে জানান ছাত্রদল নেতা কাজী সাইমুম।
বৈষম্য বিরধী ছাত্র আন্দোলনে আহত বীর সৈনিকেরা ২৪ এর নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা তাই তাদের পাশে সবার থাকা উচিৎ এবং তাদের উন্নতমানের চিকিৎসা ও যুদ্ধাহত দের পূর্ণবাসন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এই নেতা।