জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাগুরা প্রেসক্লাবের ত্রি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাগুরা প্রেসক্লাব ভবনে (২২ নভেম্বর) শুক্রবার সন্ধ্যায় বেলুন উড়িয়ে এ অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মো: মাহবুবুল আলম গোরা।
প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বিপিএম, জেলা তথ্য অফিসার পাভেল দাস, বাংলাদেশ অবজারভার এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার শহিদুজ্জামান মোহন, বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন খান, জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আলী আহম্মদ, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবিব কিশোর, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আকতার হোসেন, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক এমবি বাকের, প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ড, আলী আফজাল,শরীফ আজিজুল হাসান মোহন, দিপঙ্কর বিশ্বাস এফসিএ বক্তব্য রাখেন।
বিটিভির মহাপরিচালক মাহবুব আলম গোরা বলেন, পবিত্র ধর্মগ্রন্থের পরে মানুষ এক সময় সত্য হিসেবে সংবাদপত্রকে মনে করতো কিন্তু গত ১৭ বছরে স্বৈরশাসনের সময় অপসাংবাদিকতার কারনে তা ভুলতে বসেছিল। দেশের মানুষ টিভি- সংবাদপত্রের উপর থেকে তাদের বিশ্বাস উঠিয়ে নিয়েছিল। তিনি বলেন সাংবাদিকদের প্রকৃত সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশের গনমাধ্যকে মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলতে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। দীর্ঘদিন দেশের শাসন ব্যবস্থা একদলীয় স্বৈরশাসনে পরিনত করে সকল অর্গানগুলো ধ্বংস করা হয়েছিল, তার থেকে রক্ষা পায়নি গনমাধ্যম।
আলোচনা শেষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত মাগুরার ১০ জন শহীদ এবং মাগুরা প্রেসক্লাবের প্রয়াত ৫জন সাংবাদিককে মরনোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়াও দীর্ঘ ২৫ বছরপর মাগুরা প্রেসক্লাবের নতুন ৩১ জন সাংবাদিক সদস্যকে বরণ, প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ও মাগুরার কৃতি সন্তান বিটিভি মহাপরিচালক মো: মাহবুবুল আলম ঘোরাকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। পরে মাগুরার বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী, নিত্য শিল্পী, ও নাট্য শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে মাগুরার জেলা পর্যায়ের সরকারি বেসরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক, সামাজিক,
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাত শতাধিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অভিষেক আয়োজনকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাব ভবন এবং তার আশপাশে সাত দিনব্যাপী দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা শহরবাসীর মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করে।