মাগুরা প্রতিনিধি: নিজ বাড়িতেই সন্ত্রাসী হামলা থেকে মেয়েকে রক্ষা করতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন মাগুরা সদর উপজেলার ভাঙ্গুরা গ্রামের সঞ্জয় দাস। গুরুতর হামলার শিকার সঞ্জয় দাসকে প্রাণনাশের হুমকি ও দেয় হামলাকারীরা। মেয়ের শশুড় বাড়ির লোকজনে এসব সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা করিয়েছে বলে ধারণা করছে আহত সঞ্জয় দাসের মেয়ে সঙ্গীতা দাস।
সঙ্গীতা দাস জানান, মাগুরার শালিখা থানার গঙ্গারামপুর গ্রামের গোপাল পালের ছেলে গৌরাঙ্গ পালের সাথে আমার বিয়ের পর পারবারিক বিরোধে একটি মামলা করি আমরা। এই মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে আমাদের পরিবারের উপর নানান হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে শশুড় বাড়ির লোকজন। হামলার ঘটনার ৬-৭ দিন পূর্বে বেরইল-পলিতা বাজারে আমার বাবাকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় মনিরুল ইসলাম নামের একজন। এভাবেই তারা আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
আহত সঞ্জয় দাস জানান, গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার সময় হঠাৎ আমার বাড়িতে তিন থেকে চারটা মোটরসাইকেলে ৯-১০ জন লোক এসে হঠাৎই আমার মেয়ে সঙ্গীতার কোথায় জানতে চাই। এসময় আমি বলি মেয়ে ঘরে আছে। তখন হামলাকারীরা অতর্কিত ভাবে আমার ঘরে ঢুকেই আমার মেয়েকে টেনে হেছড়ে বের করে তাদের মোটরসাইকেলে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তখন আমি বাধা দেই।
বাধা দেওয়ার কারণে আমাকে ও আমার পরিবারকে মারধর করে আমার মেয়েকে নেয়ার চেষ্টা করলে আমাদের চিৎকার চেচামেচিতে প্রতিবেশী এসে পড়ে। লোকজন দেখে হামলাকারীরা একটি মোটরসাইকেল ফেলে রেখেই দ্রুত পালিয়ে যায়। যার নম্বর প্লেট হলো- মাগুরা-ল-১১-৪৬৯৮। পরে আমরা মোটরসাইকেলটি শত্রু জিৎপুর ফাঁড়ির পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে তাদের হাতে বুঝিয়ে দেই।
তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা আমার মাথায় চাইনিজ কোরাল দিয়ে কোপ দিলে আমি কিছুটা মাথা সড়িয়ে নিলে আমার ঠোঁটে কোপ লাগে ইতিমধ্যে আমার ঠোঁটে ২২টা সেলাই, আমি মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছি, এখনো ঠিকমতো কথা বলতে পারছিনা। আমার পরিবারে আর কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় তাৎক্ষনিক মামলা করতে পারিনি। পরে আমার মেয়ে সঙ্গীতা দাস গত ১৯ নভেম্বর বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় একটা মামলা করে, যার মামলা নম্বর ২৮। মামলায় বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া আছে, আসামি করা হয় মনিরুজ্জামান মনির, গৌরঙ্গ পাল, মিল্টন বিশ্বাস, নাহিদ, সাদ্দাম, শাকিব, আরিফ আরো অজ্ঞাত দুজন, এরই মধ্যে শাকিবকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে বলে আমি জানতে পারি। এরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতো বলে জানতে পেরেছি। আমি চাই এই সন্ত্রাসীদের বিচার হোক।