মাগুরা জেলা প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শ্রীপুরের সন্তান শহীদ সোহানের পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে শ্রীপুর সদর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে সোহানের নিজ বাড়িতে গিয়ে শহীদ সোহানের পিতা পরিবারের সদস্যদের সার্বিক নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জী, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস, থানা অফিসার্স ইনচার্জ ইদ্রীস আলী, প্রেস ক্লাবের সভাপতি ড. মুসাফির নজরুল প্রমুখ।
এর আগে শ্রীপুর পূর্বপাড়া গোরস্তানে শহীদে সোহানের কবর যিয়ারত ও দুআ মাহফিলে উপস্থিত হোন তিনি। এরপর শহীদ সোহানের পিতা সেকেন্দার শাহ ও মাতা সুফিয়া বেগমসহ পরিবারের সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। এসময় পরিবারটির সদস্যদের সার্বিক খোজ খবর নিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র, দিনমজুর ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শহীদ হয়েছে। যার ফলে আমরা আজকের নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা শহীদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছি। আহত ও নিহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেগুলো প্রতিপালন করছি। জেলা প্রশাসন সব সময় তাদের পাশে থাকবে।’
উল্লেখ্য,গত ১৯ জুলাই শুক্রবার দুপুরে রামপুরায় গুলিবিদ্ধ হয়। গুলি বুকের বাম পাশ দিয়ে ঢুকে রক্তনালী ও হাটের্র মধ্যে আটকে গিয়েছিল। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সোহান বন্ধুদের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেলে যায়।সেখানে ভর্তি হতে না করায় বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে চেষ্টা করে সেখানেও ভর্তি না নেওয়ায়।সর্বশেষ পরদিন ভোর ছয়টার দিকে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইডিসিএইচ) এ ভর্তি করা হয়।এরপর সেখানে দীর্ঘ ১৯ দিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরে আসে। পুনরায় ব্যথা শুরু হলে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার চেষ্টা চলছিলো। এরপর সেনাবাহিনী পরিচালিত সিএমএইচ-এ ২৩ আগস্ট অপারেশনের জন্য সোহানকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।