মাগুরা জেলা প্রতিনিধি:'বাংলাদেশের জন্ম হতোনা যদি ৭ নভেম্বর দিনটি না আসতো। দেশ স্বাধীন (১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ) হওয়ার পরেই চরম অরাজকতার কারণে পার্শ্ববর্তী দেশের ষড়যন্ত্রে এই দেশ একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত হচ্ছিলো। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাখাল রাজা, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তখন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সিপাহি জনতার বিপ্লবে। এই মহাননেতা ৭ নভেম্বর বিপ্লব সাধন করেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতা টিকে আছে৷' তিনি আরো বলেন, 'আগামী দিনে তারই যোগ্য উত্তরসূরী আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান এদেশকে গড়ার জন্য ডাক দিয়েছেন। সেই ডাকে আমরা সবাই সাড়া দিয়েছি' -ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শ্রীপুর থানা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা গুলো মাগুরা জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব মনোয়ার হোসেন খাঁন।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে শ্রীপুর সরকারি মহেশচন্দ্র পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আলোচনা সভার আয়োজন করে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপি। আলোচনা সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আলোচনা সভায় শ্রীপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি বদরুল আলম হিরোর সভাপতিত্বে ও শ্রীপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুন্সী রেজাউল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক খান হাসান ইমাম সুজা, আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহম্মদ, জেলা বিএনপি নেতা এ্যাড. শাহেদ হাসান টগর, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি ইমদাদুর রহমান, জেলা কৃষকদলের সভাপতি রুবায়েত হোসেন খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম জাহিদ, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মজুমদার ও মোল্যা খলিলুর রহমান, উপজেলা মহিলা দলের আহবায়ক শাহানা ফেরদৌস হ্যাপি, উপজেলা শ্রমিকদলের আহবায়ক সেলিম রেজা, কৃষকদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান মুকুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মুন্সী জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মুন্সী ইয়াসিন আলী সোহেল প্রমুখ। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা আওয়ামী আমলের দীর্ঘ ১৬ বছরের অন্যায়, জুলুম, নির্যাতন ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সমালোচনা করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গণহত্যার বিচারের দাবি করেন। সেই সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কঠোর হুশিয়ারি দেন বক্তারা।